ক. কোকোডাস্ট বা নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া - ২৫%
চারা অবস্থায় আক্রান্ত হলে চারা মারা যায়। অন্য সুস্থ গাছে বিশেষ করে গাছের গোড়ায় কপারযুক্ত ছত্রাকনাশক বা বাড়িতে তৈরি বোর্দো মিশ্রণ ৭ দিন পরপর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।
গাছের পরিচর্যা: ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবে না। ড্রাগন গাছের কান্ড লতানো প্রকৃতির। তাই চারা লাগানোর পর গাছ কিছুটা বড় হয়ে গেলে গাছকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে পিলারের মাথায় গোল আকার কোন কিছু যেমন টায়ার বেঁধে দিতে হবে, এতে গাছ সহজে ঢলে পড়বে না। গাছে অতিরিক্ত বা রোগাক্রান্ত শাখা বের হলে তা কেটে ফেলে দিতে হবে।
ছাদ বাগান করার জন্য দৃঢ় মানসিক প্রস্তুতি দরকার এবং ছাদ বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও ভালো উৎপাদনের জন্য সঠিক পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই। ছাদ বাগান স্থাপনের আগে অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে যে, ছাদ বাগান করার উপযোগী কি না?
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মেনু নির্বাচন করুন
ড্রাগন ফলের ১২টি উপকারিতা
গাছের রোপণ ও পরিচর্যা : উন্নত কাঙিক্ষত জাতের কলম করা গাছ রোপণ করে গাছে কাঠি বা খুঁটি দিয়ে সোজা করে রাখতে হবে। তাতে গাছ হেলে পড়া বা নড়ে গিয়ে দুর্বল হওয়া রোধ হবে। প্রয়োজনে গাছের অপ্রয়োজনীয় কিছু ডাল বিশেষ করে ওপরের দিকে বেশি বাড়ন্ত ডাল কমিয়ে গাছকে বেশি উঁচু না করে পাশে বাড়তে সহায়তা দিতে হবে। গাছের আকার বেশি ছোট হলে অপেক্ষাকৃত ছোট টবে বা সিমেন্টের পরিত্যক্ত তৈরি ব্যাগে কিছু সময় সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বড় হলে তা পর্যায়ক্রমে বক্স/বড় টবে রোপণ করা ভালো। টবে সংরক্ষিত গাছ সরাসরি ছাদে না রেখে নিচে এক সারি ইটের ওপর বসানো দরকার। তাতে টবের অতিরিক্ত পানি সহজে বের হবে, ছাদের জন্য ভালো হবে। ড্রামে সংরক্ষিত গাছে রোদের তাপে বেশি গরম হয়। এজন্য চট/ছালা দিয়ে ড্রামের চারধার ঢেকে দিলে তা অনেকটা রোধ হবে। গাছে পানি সেচ দেয়ার ফলে উপরিভাগের মাটি শক্ত হয়ে চট ধরে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে ওপরের স্তর ভেঙে দেয়া হলে তা রোধ হবে। এ ব্যবস্থায় আগাছা দমন করা যাবে ও ভেতরে বায়ু চলাচল সুবিধা হবে। খরা মৌসুমে দীর্ঘমেয়াদি বড় গাছের গোড়ার চার ধারে শুকনা কচুরিপানা বা খড়কুটা, শুকনো পাতা দিয়ে মালচিং দেয়া হলে রস সংরক্ষিত থাকবে, ঘাস গজানো রোধ হবে এবং পরে এগুলো পচে খাদ্য হিসেবে কাজে লাগবে।
মূল পচা : গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পচন দেখা দেয়। গাছকে টান দিলে মূল ছাড়া উঠে আসে। এজন্য উঁচু জমিতে চাষ করতে হবে। যেখানে গোড়ায় পানি জমে না।
প্রতিটি গোলাপ গাছে জন্য প্রায় এক ধরনের মাটি তৈরির প্রয়োজন হয়। ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। মনে রাখবেন গোলাপ গাছে জন্য দোঁয়াশ অথবা বেলে দোঁয়াশ মাটি একদম উপযুক্ত,এতে করে মাটির শিকড় আঁটসাঁট হয়ে থাকবে না। মাটির গঠন এবং উর্বরতা উন্নত করার জন্য মাটির সাথে জৈব সার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাটি তৈরীর জন্য টবের মাটিকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। ৩০% মাটি, ৩০% গোবর সার,৩০% ভার্মিকম্পোস্ট এবং ১০% হাঁড়েরগুড়ো,শিংকুঁচি এবং একমুঠো নিমখাল দিতে হবে। গোবর সারের পরিবর্তে কাঠের চাই, কাঠের গুঁড়ো,ধানের চিটা অথবা কোকোপিট দেওয়া যাবে। মাটির ওজন হালকা রাখতে হবে,এতে করে টব ভারওয়েট হবে না এবং টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্ন্যতি হবে। মাটি ঝুরঝুরে হলে গাছের শিকড় খুব সহজেই বৃদ্ধি পাবে।
আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।
নিয়ম অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে website । ড্রাগন চাষীদের সুবিধার প্রেক্ষিতে নিম্নে ড্রাগন ফল চাষ করার ক্ষেত্রে সার প্রয়োগের একটি চিত্র তুলে ধরা হলো-
ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবেনা। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ বালাইয়ের আক্রমন হয়না তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হয়। চারা লাগানোর পর ড্রাম টি রোদ যুক্ত স্থানে রাখুন। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলে চাষে খুব বেশি পানি দিতে হয়না। চারায় পানি দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন যেন গোড়ায় পানি না জমে। ড্রামের ভিতরের বাড়তি পানি সহজেই বের করে দেবার জন্য ড্রামের নিচের দিকে ৪ থেকে ৫ টি ছিদ্র করে দিন মাটি ভরাট করার পুর্বেই। ড্রাগন গাছের ডালপালা লতার মত হওয়ার কারনে গাছের হালকা বৃদ্ধির সাথে সাথেই খুঁটির সাথে বেঁধে দিবেন এতে করে গাছ সহজেই ঢলে পরবেনা।
পলিথিনে রাখা চারা সংগ্রহ করবার সময়ে দেখে নেবেন পলিথিনের ছিদ্র দিয়ে শিকড় দেখা যাচ্ছে কি না, দেখা গেলে সেই চারা সংগ্রহ করবেন।
ড্রাগন ফলটি হলো ক্যাকটাস গোত্রের একটি জাত এবং এর গাছটি দেখতে হুবহু প্রায় ক্যাকটাসের ন্যায় লতার মতোই দেখায়। অনেকটা মাংসাল এবং খাঁজকাটাযুক্ত গাছ।